বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশটি দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশের দিক এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কি.মি.। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লক্ষ ২৮ হাজার ৯১১ জন এবং প্রতিবর্গ কি. মি. এ বসবাস করে ১১১৯জন। ২০১৫-১৬ (সাময়িক) সালে জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৯৯ লক্ষ। বর্তমানে জনসংখ্যার বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১.২২ শতাংশ যা ২০০১ সালে ছিল ১.৫৯ শতাংশ। এবার আমরা বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারের তুলনা করব।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের জনসংখ্যার বৃদ্ধির তুলনামূলক চিত্র
উপরের সারণির তথ্যাবলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্রীলঙ্কা ও নেপালের তুলনায় বেশি। অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান ও মালদ্বীপের তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম। জনসংখ্যার এ বৃদ্ধির হার নির্ভর করে উক্ত দেশের জন্মহার, মৃত্যুহার ও অন্যান্য কারণের উপর।
উপরের সারণির তথ্যাবলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্রীলঙ্কা ও নেপালের তুলনায় বেশি। অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান ও মালদ্বীপের তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম। জনসংখ্যার এ বৃদ্ধির হার নির্ভর করে উক্ত দেশের জন্মহার, মৃত্যুহার ও অন্যান্য কারণের উপর।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনামূলক চিত্র
দেশের নাম | জনসংখ্যার ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কি. মি.) |
মালদ্বীপ | ১,৭২৮ জন |
সিঙ্গাপুর | ৮,২০৭ জন |
বাংলাদেশ | ১,১১৯ জন |
ভারত | ৪২৭ জন |
শ্রীলঙ্কা | ৩৩৮ জন |
জাপান | ৩৩০ জন |
উপরের সারণি থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব ভারত, শ্রীলঙ্কা ও জাপান থেকে প্রায় তিনগুণ বেশি। অর্থাৎ এটি একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ।
কাজ- ১: পরের পৃষ্ঠার সারণিটি বিশ্লেষণ কর। |
বাংলাদেশের বিভিন্ন বছরের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার:
আদমশুমারির বছর | জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার (%) |
১৯৭৪ | ২.৪৮ |
১৯৮১ | ২.৩৫ |
১৯৯১ | ২.১৭ |
২০০১ | ১.৫৯ |
২০১১ | ১.৩৭ |
২০২২ | ১.২২ |
common.read_more